• ২ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার ১৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

ATK Mohunbagan

খেলার দুনিয়া

আবাহনীর বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে কী বলছেন জুয়ান ফেরান্দো?‌

এএফসি কাপের মূলপর্বে ওঠার প্লে অফের লড়াইয়ে মঙ্গলবার বাংলাদেশের ঢাকা আবাহনীর বিরুদ্ধে খেলতে নামছে এটিকে মোহনবাগান। পরের রাউন্ডে পৌঁছতে গেলে আবাহনীর বিরুদ্ধে জিততেই হবে এটিকে মোহনবাগানকে। ধারেভারে এগিয়ে থাকলেও নিজেদের ফেবারিট হিসেবে মানতে নারাজ সবুজমেরুণ কোচ জুয়ান ফেরান্দো। ঘরের মাঠে খেলা হলেও বরং ওপার বাংলার দলকে যথেষ্ট সমীহের চোখে দেখছেন তিনি। তবে জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী জুয়ান ফেরান্দো। এই মুহূর্তে দারুণ ছন্দে রয়েছে এটিকে মোহনবাগান। আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টারকে উড়িয়ে দিয়েছে ৫০ ব্যবধানে। সেই ম্যাচ এখন অতীত জুয়ান ফেরান্দোর কাছে। ঢাকা আবাহনীর বিরুদ্ধে নতুন করে শুরু করতে চান। ওপার বাংলার দলের খেলার ভিডিও দেখেছেন। সেইভাবেই পরিকল্পনা তৈরি করেছেন। জুয়ান ফেরান্দোর লক্ষ্য শুরু থেকেই আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে গোল তুলে নেওয়া। চোটের জন্য রক্ষণে সন্দেশ ঝিঙ্ঘানকে এই ম্যাচেও পাবেন না জুয়ান ফেরান্দো। রয় কৃষ্ণাও নেই। তা সত্ত্বেও চিন্তিত নন সবুজমেরুণ কোচ। আসলে ব্লু স্টারের বিরুদ্ধে তাঁর দলের ফুটবলারদের খেলা ভরসা জোগাচ্ছে জুয়ান ফেরান্দো। ঢাকা আবাহনী কিন্তু একেবারেই অবহেলা করার মতো দল নয়। রাফায়েল অগাস্তোর মতো আইএসএল খেলা ফুটবলার রয়েছে ওপার বাংলার দলে। এছাড়াও রয়েছেন কোস্টারিকার বিশ্বকাপার ড্যানিয়েল কলিনড্রেস। আর এক বিদেশি হুসেনিও যথেষ্ট ভাল। তাঁদের দিকে আলাদা নজর দিতে চান ফেরান্দো। তবে ব্লু স্টারের বিরুদ্ধে ম্যাচের ফল মাথায় রাখছেন না। ফেরান্দো বলেন, আগের ম্যাচে পাঁচ গোলে জিতেছি ঠিকই। তবে প্রতিপক্ষ যে হেতু নতুন তাই আগের ম্যাচের পারফরমেন্স তেমন কাজে আসবে না। আমরা এক সপ্তাহ বিশ্রাম পেয়েছি, যে হেতু ওরা আগের ম্যাচে ওয়াক ওভার পেয়েছে তাই আমাদের থেকে বেশি বিশ্রাম পেয়েছে। তবে এসব নিয়ে ভাবছি না। ঢাকা আবাহনীর বিরুদ্ধে ম্যাচ নিয়ে এটিকে মোহনবাগান অধিনায়ক প্রীতম কোটাল বলেন, এটা আমাদের কাছে ফাইনাল ম্যাচ। গ্যালারিতে আমাদের সমর্থক ভর্তি থাকবে। ফলে আমরা ওদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে থেকে মাঠে নামব। তবে ম্যাচটা ততটাও সহজ হবে না।

এপ্রিল ১৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

দুরন্ত মনবীর–কাউকো, এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে এ কী হাল ব্লু স্টারের!‌

দীর্ঘদিন ঘরের মাঠে দর্শকদের সামনে খেলার সুযোগ পায়নি এটিকে মোহনবাগান। দু বছর পর যুবভারতীতে প্রিয় দর্শকদের সামনে ম্যাচ। ঝলসে উঠল সবুজমেরুণ ব্রিগেড। শ্রীলঙ্কার লিগ চ্যাম্পিয়ন দলকে ৫০ ব্যবধানে উড়িয়ে দুর্দান্তভাবে এএফসি কাপ অভিযান শুরু করল জুয়ান ফেরান্দোর দল। এটিকে মোহনবাগানের হয়ে দুটি করে গোল করেন জনি কাউকো ও মনবীর সিং। একটি গোল ডেভিড উইলিয়ামসের। এদিন প্রিয় দলের খেলা দেখতে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রায় ২৫ হাজার দর্শক হাজির ছিলেন। প্রিয় ফুটবলারদের উৎসাহ দিতে ব্যানার, ফেস্টুন, টিফো নিয়ে মাঠে এসেছিলেন সবুজমেরুণ সমর্থকরা। ফুটবলাররা সমর্থকদের হতাশ করেননি। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন জুয়ান ফেরান্দোর ফুটবলাররা। তারই ফসল ৫ গোল। যতই নেপালে মাচিন্দা এফসিকে হারিয়ে প্লে অফের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে আসুক শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টার, ধারেভারে তারা এটিকে মোহনবাগানের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে। তার প্রমাণ এদিন মাঠেই পাওয়া গেল। মনবীর সিং, হুগো বোমাসদের আক্রমণের চাপে শুরু থেকেই দিশেহারা ছিলেন ব্লু স্টারের ফুটবলাররা। ৫ মিনিটেই গোল করার সুযোগ এসে গিয়েছিল এটিকে মোহনবাগানের সামনে। মনবীরের সেন্টার সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি ডেভিড উইলিয়ামস। ব্লু স্টার রক্ষণে একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিলেন মনবীররা। তারই ফলশ্রুতিতে ২৪ মিনিটে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। মনবীর সিংয়ের কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের মধ্যে থেকে ডানপায়ের কোনাকুনি গড়ানো শটে গোল করেন জনি কাউকো। ২৯ মিনিটে প্রবীর দাসের পাস থেকে গড়ানো শটে ব্যবধান বাড়ান মনবীর সিং।৩৩ মিনিটে ৩০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করেন ব্লু স্টারের প্রিন্স বোয়াডু। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন জনি কাউকো। দ্বিতীয়ার্ধেও এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণের ধারা অব্যাহত ছিল। একের পর এক সুযোগও তৈরি হয়। কিন্তু গোল করতে পারছিলেন না উইলিয়ামস, কিয়ান নাসিরি, মনবীররা। অবশেষে ৭৭ মিনিটে মনবীরের পাস থেকে ৪০ করেন ডেভিড উইলিয়ামস। ৮৯ মিনিটে দলের হয়ে পঞ্চম গোল করেন মনবীর সিং।

এপ্রিল ১২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ব্লু স্টারের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে বড় ধাক্কা এটিকে মোহনবাগানের

মঙ্গলবার এএফসি কাপে শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টারের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে এটিকে মোহনবাগান। আইএসএলের ব্যর্থতা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে সমস্যায় সবুজমেরুণ শিবিরে। এএফসি কাপের গ্রুপ পর্যায়ের লড়াইয়ে পাচ্ছে না দলের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণাকে। চোটের জন্য খেলতে পারছেন না দলের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঙ্ঘানকে। দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারকে না পেলেও চিন্তিত নন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। ফিজিতে রয় কৃষ্ণার এক ঘনিষ্ট আত্মীয় মারা গেছেন। সেইজন্য তিনি ফিজিতে ফিরতে যান। সোমবার দেশে ফেরার ব্যবস্থা করতে ফিজির দুতাবাসে যান। মোটামুটি পরিস্কার, বড় কোনও অঘটন না ঘটলে এএফসি ম্যাচ না খেলেই দেশে ফিরে যাবেন রয় কৃষ্ণা। তাঁর না থাকাটা যে বড় ধাক্কা সেকথা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে এইরকম পরিস্থিতি মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট দক্ষ এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। আইএসএলেও বেশ কয়েকটা ম্যাচে রয় কৃষ্ণাকে পাননি। তাসত্ত্বেও কিন্তু হাহুতাশ করেননি। বরং বিকল্প ফুটবলারদের দিয়ে ম্যাচ উতরে গেছেন। এএফসি কাপেও রয় কৃষ্ণার বিকল্প ফুটবলার জুয়ান ফেরান্দোর হাতে রয়েছে। এশিয়া কোটা নিয়ে মোট ৪ জন বিদেশি ফুটবলারকে খেলাতে পারবেন বাগান কোচ। রয় কৃষ্ণা চলে গেলে তাঁকে সমস্যায় পড়তে হবে না। বরং কোন চার বিদেশিকে খেলাবেন, তা নিয়ে চিন্তামুক্ত হবে। সেক্ষেত্রে ফেরান্দো হুগো বোমাস, ডেভিড উইলিয়ামসকে আক্রমণভাগে রেখে দল সাজাতে পারবেন। মাঝমাঠে জনি কাউকো, রক্ষণে তিরি। কার্ল ম্যাকহিউ এখনও দলের সঙ্গে যোগ দেননি। ফলে ৪ বিদেশিই এই মুহূর্তে জুয়ান ফেরান্দোর হাতে রয়েছে। সন্দেশ ঝিঙ্ঘান না থাকায় তিরির সঙ্গে রক্ষণে প্রীতম কোটালকে খেলাবেন। রয় কৃষ্ণা ও সন্দেশ না থাকলেও ব্লু স্টারের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে চিন্তিত নন জুয়ান ফেরান্দো। তিনি বলেন, সন্দেশ দেশের হয়ে খেলার সময় থেকেই হাঁটুর চোটে ভুগছে। রয় কৃষ্ণাও থাকবে কিনা জানি না। তবে আমার হাতে বিকল্প রয়েছে। আশা করছি সমস্যা হূবে না। শ্রীলঙ্কার দলটি ততটা শক্তিশালী নয়। তাসত্ত্বেও বিপক্ষকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না জুয়ান ফেরান্দো। তিনি বলেন, ব্লু স্টার শ্রীলঙ্কার লিগ চ্যাম্পিয়ন দল। প্লে অফ ম্যাচে নেপালের মাচিন্দ্রার মতো দলকে হারিয়ে মূলপর্বে উঠে এসেছে। ফলে বিপক্ষকে মোটেই হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। একই কথা শোনা গেছে জনি কাউকোর মুখে।

এপ্রিল ১১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ফুটবলারদের পুরনো ডার্বির ভিডিও দেখালেন রিভেরা, লালহলুদকে সমীহ বাগান কোচ ফেরান্দোর

ডার্বি মানেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ভরা গ্যালারি। দুই দলের সদস্য সমর্থকদের বাকবিতন্ডা, ফুটবলারদের নামে জয়ধ্বনি, তুমুল উত্তেজনা। করোনার দাপটে এখন সে সব স্মৃতিতে। দেশীয় ফুটবলাররা ডার্বির আবেগ জানলেও, বিদেশি ফুটবলাররা ডার্বির উত্তেজনার আঁচ পায়নি। শনিবার এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে ফুটবলারদের ডার্বির আবেগ বোঝাতে পুরনো ফুটবলারদের পুরনো ডার্বির ভিডিও দেখালেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ মারিও রিভেরা। ফুটবলাররা এতে উদ্বুদ্ধ হবে বলে মনে করছেন তিনি।তিন বছর ধরে ডার্বিতে সাফল্য নেই লালহলুদ শিবিরের। গতবছর যেমন হারতে হয়েছিল, এবছরও প্রথম পর্বের ডার্বিতে হারতে হয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। তার ওপর আগের ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসির কাছে বিধ্বস্ত হতে হয়েছে। তা সত্ত্বেও দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী লালহলুদ কোচ। এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তিনি বলেন, ফুটবলারদের বলেছি, লিগ টেবিলে আমরা কোথায় আছি সেটা মাথায় না রাখতে। এই ম্যাচটা আমরা জিততে পারি। ডার্বি মানেই কঠিন লড়াই। সব পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে বলেছি। ফুটবলাররা সবাই পেশাদার। ওরা ডার্বির গুরুত্ব জানে।হায়দরাবাদ এফসির কাছে বিধ্বস্ত হলেও ওই ম্যাচের ফলাফল ডার্বিতে প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন রিভেরা। তিনি মনে করছেন, হায়দরাবাদের কাছে হার ডার্বিতে ইতিবাচক হয়ে দেখা দিতে পারে। লালহলুদ কোচের যুক্তি, বড় হারের পর ডার্বি ম্যাচ থাকলে ফুটবলারদের মোটিভেশনের অভাব হয় না। কারণ সবাই ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য মরিয়া থাকে। ফুটবলারদের নতুন করে মোটিভেট করার দরকার হয় না। এটিকে মোহনবাগানকে নিয়ে বেশি চিন্তাও করছেন না রিভেরা। তাঁর ব্যাখ্যা, আমাদের তুলনায় ওরাই বেশি চাপ নিয়ে মাঠে নামবে। আমার মতে এই ম্যাচ ৫০৫০।রিভেরার ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও এই প্রথম ডার্বিতে ডাগ আউটে বসবেন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। দুই স্প্যানিশ কোচের স্ট্র্যাটেজির লড়াই। ডার্বিতে অশ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন ফেরান্দো। তিনি বলেন, এইরকম ম্যাচের অংশীদার হওয়াটা আমার কাছে দারুণ ব্যাপার। এই ম্যাচের আবেগ কতটা জানি। কোনও ভাবেই ফোকাস নষ্ট করা যাবে না।লিগ টেবিলের সবার শেষে থাকলেও লালহলুদকে যথেষ্ট সমীহ করছেন সবুজমেরুণ কোচ। ডার্বিতে মাঠে নামার আগে জুয়ান ফেরান্দো বলেন, আগের এসসি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে এই দলকে গুলিয়ে ফেললে ভুল হবে। ওরা অনেক বদলে গেছে। আগে মনে হত চাপ নিয়ে মাঠে নামছে। এখন খোলা মনে খেলছে। দলে ছন্দ ফিরে এসেছে। নতুন বিদেশি যোগ দিয়েছে। ফলে আমাদের জিততে গেলে রীতিমতো ঘাম ঝড়াতে হবে। তবে আমরা ৩ পয়েন্টের লক্ষ্যে মাঠে নামব। প্রথম একাদশ নিয়ে মুখ না খুললেও রয় কৃষ্ণার খেলার ব্যাপারে সংশয় রয়েছে।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌স্নায়ুচাপের ডার্বিতে কোন দল হট ফেবারিট, কারাই বা আন্ডারডগ?‌

ডার্বি মানেই স্নায়ুচাপের খেলা। অতীতে দেখা গেছে, ভাল দল নিয়েও ডার্বি জেতা যায় না। ম্যাচের দিন যে দল স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে পেরেছে, তারাই ডার্বিতে বাজিমাত করে গেছে। ফলে ডার্বিতে নির্দিষ্ট কোনও দলকে এগিয়ে রাখাটা বোকামি। কিন্তু এবারের আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে হট ফেবারিট হিসেবে মাঠে নামবে এটিকে মোহনবাগান। অন্যদিকে, অনেকটা পিছিয়ে থেকে শুরু করতে হবে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে।এটিকে মোহনবাগান ডার্বিতে হট ফেবারিট থাকলেও ফুটবল বোদ্ধারা হয়তো এগিয়ে রাখার ঝুঁকি নেবেন না। কারণ করোনার জন্য পরপর তিনটি ম্যাচ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় এটিকে মোহনবাগানের খেলায় ছন্দপতন হয়েছে। যার প্রভাব আগের ম্যাচে ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে দেখা গেছে। সবুজমেরুণ ফুটবলারদের খেলার মধ্যে ধারাবাহিকতার চরম অভাব। অন্যদিকে, একের পর এক ম্যাচ হেরে এসসি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তার ওপর প্রথম পর্বের ডার্বিতে হারতে হয়েছিল লালহলুদকে। ফলে বদলা নেওয়ার জন্য মরিয়া হবে এসসি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা।এসসি ইস্টবেঙ্গলের তুলনায় এটিকে মোহনবাগানের চাপ অনেকটাই বেশি। ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট পেয়ে এই মুহুর্তে লিগ টেবিলে সপ্তম স্থানে রয়েছে এটিকে মোহনবাগান। ওডিশা এফসিরর বিরুদ্ধে আগের ম্যাচটা জিতলে চার নম্বরে উঠে আসত। সেটা সম্ভব হয়নি। ডার্বি না জিতলে প্লে অফের লড়াই থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়বে সবুজমেরুণ শিবির। এসসি ইস্টবেঙ্গলের সেই চাপটা নেই। লিগ টেবিলের একেবারে শেষে রয়েছে লালহলুদ শিবির। সেমিফাইনালে ওঠার কোনও সম্ভাবনাই নেই। ফলে চাপমুক্ত হয়ে মাঠে নামতে পারবে মারিও রিভেরার দল।যদি দুই দলের শক্তির বিচার করা হয়, তাহলে আক্রমণভাগে অনেকটাই এগিয়ে এটিকে মোহনবাগান। ১০ ম্যাচে সবুজমেরুণ করেছে ২০ গোল। সেখানে এসসি ইস্টবেঙ্গল ১৩ ম্যাচে করেছে ১৩ গোল। কার্ড সমস্যা মিটিয়ে হুগো বোমাস ডার্বিতে প্রথম একাদশে ফিরছেন। রয় কৃষ্ণা রয়েছেন, সঙ্গে ডেভিড উইলিয়ামস। লিস্টন কোলাসোও চলতি আইএসএলে বেশ কয়েকটা গোল করেছেন। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণভাগের ফুটবলারদের মধ্যে ধারাবাহিকতা নেই। নির্বাসন কাটিয়ে আগে ম্যাচে মাঠে ফিরলেও আন্তোনীয় পেরোসেভিচ হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে জ্বলে উঠতে পারেনি। সমর্থকরা তাকিয়ে নতুন বিদেশি স্ট্রাইকার মার্সোলো রিবেইরার দিকে। পেরোসেভিচের সঙ্গে তাঁকে শুরু থেকে খেলিয়ে চমক দেখাতে পারেন লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা। এছাড়া মাঝমাঠে নতুন বিদেশি ফ্রান সোতাও তাঁর তুরুপের তাস হতে পারেন।আইএসএলের শুরু থেকেই দুই দলের রক্ষণ যথেষ্ট নড়বড়ে। গোল করেও গোল ধরে রাখতে পারেনি দুই দল। বরং রেনেডি সিং যে কটা ম্যাচে দলের দায়িত্বে ছিলেন, অনকেটাই সংঘবদ্ধ দেখিয়েছে লালহলুদ রক্ষণকে। আদিল খান অনেকটাই নির্ভরতা দিয়েছে। ড্যারেল সিডোয়েলও ছন্দে ফিরেছেন। ফলে এসসি ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ ভেদ করতে যথেষ্ট ঘাম ঝড়াতে হবে রয় কৃষ্ণা, হুগো বোমাসদের।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

এসসি ইস্টবেঙ্গল ডার্বি জিতলে সেটা হবে সবথেকে বড় অঘটন, কেন একথা বললেন শ্যাম থাপা?‌

শনিবার আইএসএলের মহারণ। রাত পোহালেই আবার মাঠে নামছে কলকাতার দুই প্রধান। আইএসএলের এই হাইভোল্ডেজ ম্যাচ নিয়ে আগের মতো ক্রীড়ামহলে আর তেমন উত্তেজনা নেই। সদস্যসমর্থকদের মধ্যেও সেই উন্মাদনা নেই। সবাই যেন ধরে নিয়েছেন, এটিকে মোহনবাগানের সামনে দাঁড়াতেই পারবে না এসসি ইস্টবেঙ্গল। বর্তমান পরিস্থিতিও সেই ইঙ্গিতও দিচ্ছে। তবুও ডার্বি বলে কথা। অনেক কিছুই তো ঘটতে পারে। কিন্তু লালহলুদকে নিয়ে আশা দেখতেন না কেউ। যেমন দুই প্রধানকে বহু ডার্বিতে উতরে দেওয়ার নায়ক শ্যাম থাপা বলছিলেন, ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গল জিতলে সেটা হবে বড় অঘটন।আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের কোনও সম্ভাবনাই দেখছেন না শ্যাম থাপা। তিনি বলছিলেন, আমি তো এসসি ইস্টবেঙ্গলের জেতার কোনও আশাই দেখছি না। জেতা তো দূরের কথা, ড্র করতে পারবে কিনাও সন্দেহ। এই ইস্টবেঙ্গল টিমের কী আছে বলুন তো? একটা পজিশনেও ভাল ফুটবলার আছে, যাকে ঘিরে সমর্থকরা স্বপ্ন দেখতে পারে। এটিকে মোহনবাগানের দিকে তাকান। সব বিভাগেই ভাল ভাল ফুটবলার। রক্ষণ একটু কমজোরি হলেও আক্রমণভাগ খুবই শক্তিশালী। রয় কৃষ্ণা, হুগো বোমাস, ডেভিড উইলিয়ামসের মতো বিদেশি রয়েছে আক্রমণভাগে। এছাড়া লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংয়ের মতো দেশীয় ফুটবলাররা। এদের আটকানোর মতো ডিফেন্ডার এসসি ইস্টবেঙ্গলে নেই।১৯৭৮ র ডার্বি ম্যাচে শ্যাম থাপার বাইসাইকেল কিকশোনা যাচ্ছে চোটের জন্য রয় কৃষ্ণা অনিশ্চিত। তা সত্ত্বেও মোহনবাগানকে পিছিয়ে রাখছেন না শ্যাম থাপা। তিনি বলেন, রয় কৃষ্ণা খেলতে না পারলেও সমস্যা হবে বলে মনে করছি না। কার্ড সমস্যা মিটিয়ে হুগো বোমাস প্রথম একাদশ ফিরছে। ডেভিড উইলিয়ামস আছে। মাঝমাঠে জনি কাউকো। ডিফেন্সে তিরি, ম্যাকহিউরা আছে। স্বদেশি ফুটবলাররাও যথেষ্ট ভাল। শুনছি নাকি সন্দেশ ঝিঙ্ঘানকেও খেলানো হতে পারে। সুতরাং এই এটিকে মোহনবাগানকে যদি এসসি ইস্টবেঙ্গল হারাতে পারে, সেটা হবে এই আইএসএলের সবথেকে বড় অঘটন।অতীতে দুর্বল দল নিয়েও লালহলুদের ডার্বি জেতার ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু এই এসসি ইস্টবেঙ্গলের সেই ক্ষমতা নেই বলে মনে করছেন শ্যাম থাপা। তিনি বলেন, আগে ডার্বির একটা অন্য আবেগ ছিল। এইসব বিদেশি কোচ, ফুটবলাররা মুখে যাই বলুক, ডার্বির আবেগ জানে? গুরুত্ব বোঝে? আবেগ থাকা চাই। সেটা থাকলেও দুর্বল দল নিয়ে জেতা যায়। সেটা অতীতে আমরা অনেকবার জিতেছি। কখনও ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে, কখনও এটিকে মোহনবাগানের জার্সি গায়ে। সেসব দিন এখন আর নেই।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডার্বি নিয়ে কী বললেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন কোচ মানোলো দিয়াজ?‌ জানলে চমকে যাবেন

এবারের আইএসএলের প্রথম পর্বের ডার্বিতে তিনিই ছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের ডাগ আউটে। শনিবার এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ খেলতে নামছে লালহলুদ শিবির। এবার আর ডাগ আউটে নয়, সুদূর স্পেনে বসে টিভির পর্দায় চোখ রাখতে হবে মানোলো দিয়াজকে। তাঁর কোচিংয়েই প্রথম পর্বের ডার্বিতে ৩ গোলে বিধ্বস্ত হতে হয়েছিল লালহলুদকে। দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতেও এসসি ইস্টবেঙ্গলের জয়ের কোনও সম্ভাবনা দেখছেন না লালহলুদের এই প্রাক্তন কোচ।ডার্বি নিয়ে মানোলো দিয়াজের বক্তব্য, এসসি ইস্টবেঙ্গলের যা অবস্থা, এবারও ডার্বি জেতার কোনও সম্ভাবনা দেখছি না। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ভাগ্যের জোরে জিতেছিল। পরের ম্যাচেই হায়দরাবাদ এফসির কাছে হার। দলটার যদি ছন্দ ফিরে আসত তাহলে তো পরের ম্যাচেও জিতত। মানোলো দিয়াজের কোচিংয়ে প্রথম পর্বের ডার্বিতে প্রথমার্ধে একেবারেই দাঁড়াতে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধেই ৩ গোল হজম করতে হয়েছিল। ৫ গোলের রেকর্ডও ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য কিছুটা লড়াই করে ম্যাচে ফিরেছিল লালহলুদ ব্রিগেড।মানোলো দিয়াজকে কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব সামলেছিলেন রেনেডি সিং। তাঁর কোচিংয়ে লালহলুদ ফুটবলারদের মধ্যে লড়াইটা দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। যা দিয়াজের সময় দেখা যায়নি। তবুও এই স্প্যানিশ কোচের দাবি, এসসি ইস্টবেঙ্গলের কয়েকজন ফুটবলার ছাড়া বাকিদের আইএসএলে খেলার যোগ্যতাই নেই। এমনকি আন্তোনীয় পেরোসেভিচ ও ড্যারেল সিডোল ছাড়া বাকি বিদেশি ফুটবলারদের নাকি কর্তারাই পছন্দ করে দলে নিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগের তিন মূলত এসসি ইস্টবেঙ্গলের সিইও শিবাজী সমাদ্দারের দিকে।রেনেডি সিং দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আদিল খান প্রথম একাদশে। নিয়মিত খেলছেন। রক্ষণকে দারুণ নির্ভরতাও দিচ্ছেন। তবু আদিল খানকে ভাল মানের ডিফেন্ডারের স্বীকৃতি দিতে নারাজ মানোলো দিয়াজ। তিনি বলেন, আদিল খানের দক্ষতা এমন কিছু আহামরি নয়। ভাল স্ট্রাইকারের সামনে পড়লে ওর দুর্বলতা ফুটে উঠবে। ওকে না খেলানোর জন্য আমার অনেক সমালোচনা হয়েছিল। সবই শুনেছি। ওকে একটা ম্যাচে আমি খেলাতে চেয়েছিলাম। ও খেলতে রাজি হয়নি। একজন পেশাদার ফুটবলারের এইরকম আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। টিমটার মধ্যে শৃঙ্খলা ছিল না। এরজন্য কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট দায়ী।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌ডার্বিতে ৫–৬ গোলের লজ্জায় পড়তে হবে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে? কী বললেন সমরেশ চৌধুরি‌

আইএসএলের প্রথম পর্বের ডার্বিতে এটিকে মোহনবাগানের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। শনিবার আবার দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। ডার্বির ড্রেস রিহার্সাল একেবারেই ভাল হয়নি দুই দলের কাছে। এটিকে মোহনবাগান আগের ম্যাচে আটকে গিয়েছিল ওডিশা এফসির কাছে। অন্যদিকে, হায়দরাবাদ এফসির কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। চলতি আইএসএলে ১৩ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটা ম্যাচে জয় পেয়েছে লালহলুদ। ৬টি হার, ৬টি ড্র। তুলনামূলকভাবে অনেক ভাল জায়গায় এটিকে মোহনবাগান। ১০ ম্যাচে চারটিতে জয়, চারটি ড্র। হার দুটি ম্যাচে। ডার্বিতে লালহলুদের জয়ের কোনও সম্ভাবনাই দেখছেন না লালহলুদ জার্সি গায়ে একসময় দাপিয়ে খেলা সমরেশ চৌধুরি।এসসি ইস্টবেঙ্গলের নাম শুনলেই রীতিমতো রেগে আগুন লালহলুদের এই ঘরের ছেলে। সমরেশ চৌধুরি বলছিলেন, এই এসসি ইস্টবেঙ্গল দল নিয়ে আলোচনা করতেই আমার ঘেন্না লাগছে। এটা কোনও দল হল? গোলকিপার থেকে শুরু করে স্ট্রাইকার, একটাও ভাল ফুটবলার আছে। আমার তো মনে হয় লালহলুদ জার্সি গায়ে দেওয়ার কোনও যোগ্যতাই এদেন নেই। কোন ফুটবলারকে নিয়ে আলোচনা করব? কাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখবে সমর্থকরা?ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের জয়ের কোনও সম্ভাবনাই দেখছেন না সমরেশ চৌধুরি। তিনি বলেন, ইস্টবেঙ্গলের অনেক দল দেখেছি। এইরকম দুর্বল দল কখনও দেখিনি। দুর্বল দল নিয়েও অতীতে লালহলুদ ডার্বি জিতেছে। এবার জেতার কোনও সম্ভাবনাই দেখছি না। এমনকি ড্র করতে পারে, এমন আশাও নেই। আমার তো মনে হয় ৫৬ গোলের লজ্জায় না পড়তে হয়। আক্রমমভাগ থেকে শুরু করে রক্ষণ, সব পজিশনেই হতশ্রী অবস্থা। তাছাড়া এই দলে কজন ফুটবলার ডার্বির আবেগ বোঝে? ডার্বিতে এই এসসি ইস্টবেঙ্গল নিয়ে আতঙ্কে আছি।এটিকে মোহনবাগানকে ডার্বিতে যে আটকানো কঠিন, মেনে নিয়েছেন সমরেশ চৌধুরি। তিনি বলেন, ওডিশা এফসির কাছে এটিকে মোহনবাগান আটকে গেলেও ওরা ভাল ছন্দে রয়েছে। আক্রমণভাগে রয় কৃষ্ণা, হুগো বোমাস, ডেভিড উইলিয়ামসের মতো ফুটবলাররা রয়েছে। এদের আটকানোর মতো ডিফেন্ডার লালহলুদে নেই। তাছাড়া প্রথম পর্বের ডার্বিতে এটিকে মোহনবাগানের কাছে উড়ে গিয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। অনেক আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামবে সবুজমেরুণ শিবির।

জানুয়ারি ২৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ISL Derby : ডার্বিতে হারের হ্যাটট্রিক, বড় লজ্জার হাত থেকে বাঁচল এসসি ইস্টবেঙ্গল

ডার্বিতে হারাটা যেন অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। গত মরশুমে দুটি সাক্ষাৎকারেই জিতেছিল এটিকে মোহনবাগান। এবছর প্রথম ডার্বিতেও ছবিটা বদলাল না। গোয়ার তিলক ময়দানে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে ৩-০ গোলে হারিয়ে আইএসএল ডার্বি জয়ের হ্যাটট্রিক করল এটিকে মোহনবাগান। জয়ের ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। লালহলুদকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচালেন গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্যর পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা শুভম সেন।প্রথমার্ধে তিন গোল হজম করে লাল হলুদ। এটিকে মোহনবাগানের শক্তিশালী আক্রমণভাগের বিরুদ্ধে ৩ জনকে ডিফেন্সে রাখার মাশুল দিতে হল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। সেই সঙ্গে অরিন্দম ভট্টাচার্যের জঘন্য গোলকিপিংয়ের কথাও বলতে হবে। গত বছর আইএসএলে প্রথম সাক্ষাতে এই দিনেই ডার্বি জিতেছিল আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল। কাকতালীয়ভাবে সেই একই দিনে আবার ডার্বিতে জয়।এদিন এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ৩-৪-৩ ছকে আক্রমণাত্মকভাবে শুরু করেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে হাবাস ৪-৩-৩ ছকে শুরু করেন। চেনা ছন্দে ফিরতে দেরি হয়নি এটিকে মোহনবাগানের। ১১ মিনিটের মধ্যে তিন গোল হতোদ্যম করে দেয় এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। ১২ মিনিটে রয় কৃষ্ণর প্রথম গোল। মনবীর সিং ডানদিক দিয়ে উঠে এসে বল বাড়ান প্রীতম কোটালের দিকে। এটিকে মোহনবাগানের অধিনায়ক বক্সের কাছে গিয়ে বল বাড়়ান রয় কৃষ্ণকে উদ্দেশ্য করে। দর্শনীয় ভঙ্গিমায় বল জালে জড়ান রয় কৃষ্ণ। এর ঠিক দুই মিনিট পরেই ব্যবধান বাড়ান মনবীর। জনি কাউকোর দুরন্ত থ্রু পাস থেকে অরিন্দম ভট্টাচার্যকে পরাস্ত করে সবুজ-মেরুনকে এগিয়ে দেন মনবীর। ২৩ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর গোল। দ্বিতীয় গোলের মতোই তৃতীয় গোলটিও এটিকে মোহনবাগানকে কার্যত উপহার দেন অরিন্দম। বক্সের প্রায় বাইরে গিয়ে কোলাসোর থেকে বল কেড়ে নিতে গিয়েছিলেন অরিন্দম। তাঁকে পরাস্ত করতে সময় নেননি কোলাসো।৩৩ মিনিটে অরিন্দম ভট্টাচার্যকে তুলে নিতে বাধ্য হন লালহলুদ কোচ। নামান শুভম সেনকে। হলুদ কার্ড দেখা লালরিনলিয়ানা হামতেকে তুলে নিয়ে অমরজিৎ কিয়ামকে নামানো হয়। তিন গোল করার পরও প্রথমার্ধে আরও বেশ কয়েকবার গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল সবুজ মেরুন। কিন্তু লাল হলুদের লজ্জা বিরতির আগে আর বাড়েনি।দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য কিছুটা খেলায় ফেরে এসসি ইস্টবেঙ্গল। মানোলো দিয়াজ ডিফেন্স মজবুত করায় এটিকে মোহনবাগান আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। এদিনের জয়ের সুবাদে ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগশীর্ষে চলে গেল এটিকে মোহনবাগান। এসসি ইস্টবেঙ্গল নেমে গেল নবম স্থানে। ২ ম্যাচে লাল হলুদের ঝুলিতে ১ পয়েন্ট। মঙ্গলবার ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে খেলবে এসসি ইস্টবেঙ্গল। এটিকে মোহনবাগানের পরবর্তী ম্যাচ বুধবার মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে।

নভেম্বর ২৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

East Bengal vs Mohun Bagan : ছন্দে থাকলেও ডার্বিতে নিজেদের এগিয়ে রাখছেন না হাবাস

গত বছর অল্পের জন্য খেতাব হাতছাড়া হয়েছে। মুম্বই সিটি এফসি-র কাছে ফাইনালে হেরে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। এবছর দারুণভাবে আইএসএল অভিযান শুরু করেছে এটিকে মোহনবাগান। আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল উদ্বোধনী ম্যাচেই ৪-২ গোলে হারিয়েছে কেরালা ব্লাস্টার্সকে। আজ কলকাতা ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ফেবারিট হিসেবেই নামছে এটিকে মোহনবাগান। কারণ ছন্দ ও শক্তির বিচারে অনেক এগিয়ে সবুজমেরুণ শিবির। যদিও কোচ হাবাস নিজেদের ফেবারিট হিসেবে মানতে নারাজ।ডার্বিতে নামার আগে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে সমীহ করে তিনি বলেন, এসসি ইস্টবেঙ্গলের দল এবার একেবারেই নতুন। নতুন কোচ এসেছেন। এমনিতে নতুন দলের থিতু হতে অন্তত এক বছর লাগে। কিন্তু এখানে সব কিছু দ্রুত তৈরি করে নিতে হয়। দুই দলের কাছেই ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচ কলকাতার বাইরে হচ্ছে। গ্যালারিতে দর্শক থাকবে না। ফুটবলারদের বাড়তি চাপ নিয়ে মাঠে নামতে হবে না। ফলে এই ডার্বিতে কে এগিয়ে তা আগাম বলা যাবে না।তারকা প্রথায় কখনও বিশ্বাস করেন না এটিকে মোহনবাগান কোচ। তাই হুগো বুমোস, লিস্টন কোলাসো, রয় কৃষ্ণ, জনি কাউকোদের নিয়ে সমর্থক থেকে সংবাদমাধ্যমের মাতামাতি দেখে অসন্তুষ্ট হাবাস। তিনি বলেন,তিন-চারজনকে নিয়ে দল হয় না।বঅমরিন্দর, প্রীতম, প্রবীর, তিরির মতো ফুটবলাররাও রয়েছে। আমার কাছে সব ফুটবলারই গুরুত্বপূর্ণ। গত মরশুমে দুটি ডার্বিতেই জিতেছিল এটিকে মোহনবাগান। অতীতের সাফল্যের কথা মাথায় রাখতে চাইছেন না হাবাস। তিনি বলেন, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি সবসময় হয় না। নতুন বছর, নতুন ম্যাচ।কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে দলের খেলায় গা ছাড়া মনোভাব যাতে ডার্বিতে না দেখা যায় সেজন্য ফুটবলারদের সতর্ক করে দিয়েছেন হাবাস। ডার্বিতে তিরিকে পাচ্ছে না এটিকে মোহনবাগান। তিনি বাদে সকলেই সুস্থ। রণকৌশলও গোপনই রাখলেন হাবাস। তিনি বলেন, সব ম্যাচে সমানভাবে খেলা যায় না। পরিবেশ, পরিস্থিতি অনুযায়ী বিপক্ষ কেমন খেলছে সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করাটাই স্বাভাবিক। কার হলুদ কার্ড রয়েছে, কাকে কতক্ষণ খেলানো যাবে এই সব বিষয়ও বিবেচনাধীন থাকে। তৎক্ষণাৎ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধেও তার ব্যতিক্রম হবে না।পেরোসেভিচ বা চিমাকে বাড়তি গুরুত্ব না দিয়ে গোটা এসসি ইস্টবেঙ্গলকে কীভাবে আটকাবেন সেটাই পরিকল্পনা করছেন।

নভেম্বর ২৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

ISL Derby : ডার্বিতে এগিয়ে কোন দল? নিজেদের আন্ডারডগ ভাবছেন দিয়াজ

দুই দলের মধ্যে পার্থক্য অনেকটাই। গত মরশুমের দল ধরে রাখার পাশাপাশি এটিকে মোহনবাগান শক্তি বাড়িয়েছে অনেকটাই। হুগো বোমাস যোগ দেওয়ায় আক্রমণভাগ অনেকটাই শক্তিশালী হয়েছে। অন্যদিকে, শেষ মুহূর্তে দল গড়তে নেমে তেমন ভাল দল গড়তে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। এই মরশুমে আইএসএল অভিযানের শুরুতেও ছাপ রাখতে পারেনি। অন্যদিকে, দুর্দান্ত শুরু করেছে এটিকে মোহনবাগান। শনিবার মরশুমের প্রথম ডার্বিতে ধারেভারে সবুজমেরুণ শিবিরই যে এগিয়ে, সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে নতুন কোচের তত্ত্বাবধানে নতুন মুখদের নিয়ে আইএসএলে এবার ডার্বি জিততে মরিয়া লাল হলুদ শিবির।কেরালা ব্লাস্টার্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে এবারের আই এস এল অভিযান শুরু করেছে এটিকে মোহনবাগান। অন্যদিকে, জামশেদপুর এফসির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করলেও খুব একটা খারাপ খেলেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। ডার্বিতে অন্য খেলা হবে, সে কথা বুঝিয়ে দিয়েছেন লালহলুদ কোচ মানোলো দিয়াজ। তিনি বলেন কলকাতা ডার্বি আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচের গুরুত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। স্পেন, মেক্সিকোতেও অনেক ডার্বি দেখেছি। ডার্বি সব সময় অন্য মাত্রা নেয়। আমাদের কাছে এটা লিগের দ্বিতীয় ম্যাচ। সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।এটিকে মোহনবাগান দারুণ সমীহ করছেন লালহলুদ কোচ। দিয়াজ বলেন, এটিকে মোহনবাগান খুবই ভালো দল। কোচও খুবই ভাল। বিপক্ষ কোচের আইএলএলেও যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। ভুলভ্রান্তি কম করে বিপক্ষের দুর্বলতাগুলোকে কাজে লাগিয়ে ভাল খেলতে হবে। সবুজমেরুণকে সমীহ করলেও প্রথম একাদশ খোলসা করেননি মানোলো দিয়াজ। ড্যারেন সিডোলকে খেলাবেন কিনা সে ব্যাপারেও নিশ্চিত করে কিছু বলেননি। দলের সব ফুটবলারই ডার্বি খেলতে প্রস্তুত বলে মানোলো দিয়াজ জানিয়েছেন।মরশুমের প্রথম ডার্বিতে নিজেদের আন্ডারডগ হিসেবে দেখছেন মানোলো দিয়াজ। তিনি বলেন, আন্ডারডগ তকমা আমাদের গায়ে লাগিয়ে দেওয়া হলেও কোনও অসুবিধা নেই। আমরা নিজেদের শক্তি অনুযায়ি খেলব। এটিকে মোহনবাগান গত মরশুমে দারুন খেলেছে। বেশ কয়েকজন ফুটবলার কয়েক মরশুম ধরে একসঙ্গে খেলছেন। আমরাও তৈরি অনেক ফর্মেশন তৈরি রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী ছক বদল করব। রয় কৃষ্ণ, হুগো বুমোসদের কীভাবে আটকাতে চান সেই কৌশলও গোপন রাখলেন লাল হলুদ কোচ। তিনি বলেছেন, ম্যাচের পরিস্থিতির উপর এটা নির্ভর করবে। বল আমাদের বক্সের কাছাকাছি থাকলে ম্যান মার্কিংয়ে যাব। তবে আমরা রয়, হুগোর বিরুদ্ধে খেলছি না। তাঁরা ভালো ফুটবলার, গোল করতে পারেন। তবে তাঁদেরও সতীর্থদের সাহায্যের প্রয়োজন। ফলে শুধু দুজনকে নয়, গোটা দলকেই আটকানোর চেষ্টা করব।অভিজ্ঞতায় এটিকে মোহনবাগান কিছুটা এগিয়ে রয়েছে মানলেও খেলাটা সবুজ মেরুনের আক্রমণ বনাম লাল হলুদের ডিফেন্সের লড়াই হবে বলে মানতে নারাজ দিয়াজ। তিনি বলেন, আমাদের শক্তিশালী হতে হবে। ভালো ও নিখুঁত পাস দেওয়া-নেওয়া করতে হবে নিজেদের মধ্যে। বিপক্ষের গোল এরিয়ায় প্রচুর গোলের সুযোগ তৈরি করতে হবে। সারাক্ষণ যদি ওদের বিরুদ্ধে আমরা রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলি, তা হলে ম্যাচটা আমাদের কাছে আরও কঠিন হয়ে উঠবে।

নভেম্বর ২৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

A‌TK Mohunbagan : এটিকে মোহনবাগানের হাত ধরে ভারতীয় ফুটবলে ফিরল কলঙ্কজনক অধ্যায়

বছর দশেক আগে এএফসি কাপে নাসাফ এফসির কাছে ৯০ ব্যবধানে হেরে ভারতীয় ফুটবলকে কালিমালিপ্ত করেছিল ডেম্পো। আবার সেই কলঙ্কজনক অতীত ফিরে এলে। সৌজন্যে এটিকে মোহনবাগান। এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে নাসাফের কাছে ৬০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হল সবুজমেরুণ শিবির। গ্রুপ লিগে বেঙ্গালুরু এফসি এবং মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবকে হারিয়ে এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে ওঠার পর এটিকে মোহনবাগানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন সবুজমেরুণ সমর্থকরা। উজবেকিস্তানের নাসাফের কাছে হেরে স্বপ্ন চুরমার। লজ্জার মুখে পড়তে হল হাবাসের দলকে।আরও পড়ুনঃ বাংলার জন্য আমি অ্যাভেলেবল আছিসবুজমেরুণের এই বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে দায় এড়াতে পারেন না এটিকে মোহনবাগান কোচ আন্তোনীয় হাবাস। প্রথমত, ভুল দল নির্বাচন। দ্বিতীয়ত, দলের বোঝাপড়া গড়ে তুলতে পারেননি। নাসাফের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে যে ধরণের প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার ছিল, তা নিতে পারেনি। তবে ধারেভারে নাসাফ যে অনেকটাই এগিয়ে ছিল, সেকথা অস্বীকার করে যাবে না। উজবেকিস্তানের সুপার লিগে খেলার মধ্যেই রয়েছে। অন্যদিকে, এটিকে মোহনবাগানের সমস্যা ম্যাচ প্র্যাকটিসের অভাব। মাত্র ১৫২০ দিনের অনুশীলন করে ম্যাচ খেলতে নেমেছে। ফলে অনেকটা পার্থক্য যে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।আরও পড়ুনঃ আপনার একটা ভোট না পেলেও ক্ষতি হয়ে যাবে...কেন এমন বললেন মমতা?ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে ঝড় তুলেছিল নাসাফ। ৪ মিনিটে এগিয়েও যায়। বক্সের মধ্যে ভেসে আসা কর্ণার বিপদমুক্ত করতে গেলে প্রীতম কোটালের মাথায় লেগে বল জালে জড়িয়ে যায়। শুরুতে পিছিয়ে পড়ে মনোবলে ধাক্কা খায় এটিকে মোহনবাগান। নিজেদের সামলাতে পারেননি সবুজমেরুণ ফুটবলাররা। ১৮ মিনিটে নাসাফের হয়ে ব্যবধান বাড়ান খুসায়িন। মিনিট তিনেক পর তিনিই ৩০ করেন। ৩১ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন খুসায়িন। ৪০ মিনিটে বাখরমকে বক্সের মধ্যে প্রীতম কোটাল ফাউল করলে পেনাল্টি পায় নাসাফ। বজোরভের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে সেই বজোরভই ৫০ করেন।আরও পড়ুনঃ কোভিডে মৃত্যু হলে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্যনাসাফের বিরুদ্ধে প্রথমে ৩৪৩ ছকে শুরু করেছিলেন হাবাস। বিপক্ষের আক্রমণ সামাল দিতে না পেরে ৪৩৩ ছকে চলে যান। নাসাফকে মাঝমাঠে আটকতে যার ওপর বেশি ভরসা করেছিলেন সেই জনি কাউকো প্রথমার্ধে একেবারে নিস্প্রভ ছিলেন। ডিফেন্সে তিরি আর সন্দেশ ঝিংঘানের মতো ফুটবলার না থাকাটাও বড় ফ্যাক্টর হয়ে যায়। তার ওপর শেখ সাহিলের মতো তরুণ ফুটবলারকে এই ধরণের ম্যাচে নামিয়ে দিয়ে ঠিক করেননি হাবাস। প্রথম একাদশ নির্বাচনে একাধিক ভুল। সবুজমেরুণ ফুটবলারদের প্রথমার্ধে দিশাহীন মনে হচ্ছিল। মাঝমাঠে এটিকে মোহনবাগানকে দাঁড়াতেই দেননি। তাছাড়া শারীরিক দিক দিয়ে নাসাফের ফুটবলারদের থেকে সবুজমেরুণ ফুটবলাররা অনেক পিছিয়ে।আরও পড়ুনঃ ভবানীপুরের উপনির্বাচনের অভিঘাত ভিন্ন, তবে মনে করাচ্ছে ৬৫ বছর আগের বাংলার রাজনীতির কথাদ্বিতীয়ার্ধে এটিকে মোহনবাগান অনেকটা গুছিয়ে নেয়। মাঝমাঠে খেলা ধরতে পরিস্থিতি বদলে যায়। প্রথমার্ধেই ৫ গোলে এগিয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয়ার্ধে তেমন ঘামায়নি নাসফ। ম্যাচ অনেক হালকাভাবে নেয়। তার মধ্যেই ৬০ মিনিটে বজোরভের একটা শট পোস্টে লাগে। ৭১ মিনিটে ৬০ করেন নারজুয়েলভ। শেষদিকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল নাসাফ। কাজে লাগাতে পারেনি। জনি কাউকো ব্যর্থ হওয়ায় ম্যাচের শেষের দিকে তাঁকে তুলে নেন হাবাস।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌East Bengal : এসসি ইস্টবেঙ্গল ও এটিকে মোহনবাগানের চাপে কেন পিছু হটল আইএফএ?‌

দুই প্রধানের স্বার্থে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে সুচি পরিবর্তন করেছিল আইএফএ। তাসত্ত্বেও প্রথম ম্যাচে দল নামায়নি এটিকে মোহনবাগান। প্রতিপক্ষ জর্জ টেলিগ্রাফ ওয়াকওভার পায়। এসসি ইস্টবেঙ্গলও তাদের প্রথম ম্যাচে দল নামাতে পারবে না। এই অবস্থায় দুই প্রধানের ওপর বেজায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে আইএফএ। সোমবার দুপুরে এই দুই ক্লাবের অজান্তে তাদের সেন্ট্রাল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয় বাংলার ফুটবল নিয়ামক সংস্থা।বিষয়টা প্রকাশ্যে আসে এসসি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার রেজিস্ট্রেশন করাতে গেলে। সেন্ট্রালাইজড রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমে (সিআরএস) এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ফুটবলার সই করাতে পারছিলেন না। আইএফএতে ফোন করে কর্তারা জানতে পারে, এসসি ইস্টবেঙ্গল এবং এটিকে মোহনবাগানের সিআরএস সিস্টেম ব্লক করা হয়েছে।আরও পড়ুনঃ নীরজে উদ্বুদ্ধ দেবেন্দ্র প্যারালিম্পিকে দেশকে এনে দিলেন রুপোএই প্রসঙ্গে সোমবার দুপুরে আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখার্জি বলেন, এসসি ইস্টবেঙ্গল ও এটিকে মোহনবাগানের কলকাতা লিগ খেলার কথা ছিল। কিন্তু এই দুই বড় ক্লাব কলকাতা লিগ নিয়ে আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না। ওদের জন্য সূচিতে পরিবর্তন করা হয়েছিল। কিন্তু ওরা খেলছে না। তাই ওদের সিআরএস ব্লক করা হয়েছিল। বিকালে লিগের সব ক্লাবকে নিয়ে বৈঠক করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।এরপরই চরম তৎপরতা শুরু হয় এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের। তঁারা যোগাযোগ করে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন এবং এফএসডিএলের সঙ্গে। এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা এফএসডিএল ও ফেডারেশন কর্তাদের জানান, সিআরএস বন্ধ থাকলে তাঁদের পক্ষে দল গঠন করা সম্ভব নয়। তারপরই ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখার্জির সঙ্গে কথা বলা হয়। বিকেল সাড়ে চারটের সময় ফেডারেশনের নির্দেশে দুই ক্লাবের সিআরএস সিস্টেম খুলে দেওয়া হয়। আবার ফুটবলার রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু করেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।আরও পড়ুনঃ প্রথম পুরস্কার শাহিদার, উচ্ছ্বসিত মা বিকেলে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসেন আইএফএ সচিব। এসসি ইস্টবেঙ্গল ও এটিকে মোহনবাগানের কোনও প্রতিনিধি বৈঠকে আসেননি। দুই প্রধান না খেললেও লিগ চলবে বলে জানান আইএফএ সচিব। তিনি বলেন, এই দুই ক্লাব না খেললেও লিগ চলবে। এসসি ইস্টবেঙ্গল ও এটিকে মোহনবাগান যদি লিগে নিজেদের ম্যাচগুলোর ৪৮ ঘন্টা আগে খেলার বিষয়ে কিছু না জানায়, তাহলে প্রতিপক্ষ দল নিয়ম মেনে ৩ পয়েন্ট করে পাবে। তবে এই দুই প্রধান কলকাতা লিগে খেলুক, চাইছেন আইএফএ সচিব। প্রয়োজনে আবার সূচি পরিবর্তন করতে তিনি তৈরি। সূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার এসসি ইস্টবেঙ্গল বনাম ভবানীপুরের ম্যাচ। ৪৮ ঘন্টা আগে লাল-হলুদ খেলার বিষয়ে কিছু জানায়নি বলে, ভবানীপুরকে ইতিমধ্যেই ৩ পয়েন্ট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএফএ।

আগস্ট ৩০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌ATK Mohunbagan : আজ মাজিয়ার বিরুদ্ধে জিতলেই এএফসি কাপের পরের পর্ব নিশ্চিত বাগানের

মরশুমের প্রথম ম্যাচে এএফসি কাপে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে আধিপত্য নিয়ে জিতেছে এটিকে মোহনবাগান। আজ মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে আন্তেনীয় লোপেজ হাবাসের দল। মাজিয়ার বিরুদ্ধে জিতলেই পরের পর্বে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে যাবে সবুজমেরুণ শিবিরের। আজই পরের পর্বে যাওয়া নিশ্চিত করতে চান রয় কৃষ্ণারা। তবে আজ সতর্কভাবে মাঠে নামতে চান হাবস।আরও পড়ুনঃ ভোট পরবর্তী হিংসায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশমাজিয়ার স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেই মাঠে নামবে এটিকে মোহনবাগান। প্রথম ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে জয় দলের ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের কাছে গ্রুপ লিগের প্রথম ম্যাচ হেরে বেশ চাপে রয়েছে মাজিয়া। পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা টিকিয়ে রাখতে গেলে আজ মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জিততেই হবে মালদ্বীপের এই দলটিকে।আরও পড়ুনঃ শরিকী বিবাদে কিংবদন্তী গোষ্ঠ পালও আজ দুভাগবেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে যথেষ্ট ইতিবাচক ফুটবল উপহার দিয়েছিল সবুজমেরুণ শিবির। মাজিয়ার বিরুদ্ধে সেটাই ধরে রাখতে চান এটিকে মোহনবাগান কোচ আন্তেনীয় লোপেজ হাবাস। তবে বিপক্ষ শিবিরকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। মাজিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামর আগে হাবাস বলেন, মাজিয়া নতুন প্রতিপক্ষ। আগের ম্যাচে কী হয়েছে তা ভুলে আমাদের মাঠে নামতে হবে। প্রতিপক্ষকে সমীহ করতেই হবে। নিজেদের খেলায় আরও উন্নতি করতে হবে। নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে দল জিতেছে। প্রথম ম্যাচ জিতলেও আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। একটা বাজে দিন পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে।সবুজমেরুণ কোচ আরও বলেন, বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে মাজিয়ার খেলা দেখেছি। একইরকম স্ট্র্যাটেজিতে আমাদের বিরুদ্ধে নাও খেলতে পারে। আমাদের বিরুদ্ধে কী রকম স্ট্র্যাটেজিতে খেলে, সেটা দেখেই আমাদের খেলতে হবে। ওরা আমাদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিতে পারে, এটা মাথায় রেখেই মাঠে নামতে হবে।আরও পড়ুনঃ মধ্যস্থতাকারীর সঙ্গে বৈঠকেও সমস্যা মিটল না ইস্টবেঙ্গলেরঅন্যদিকে, প্রথম ম্যাচে হারের পর এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া মাজিয়া। কোচ রিস্টো ভিদাকোভিচের বলেন, বসুন্ধরা ম্যাচে আমার ফুটবলাররা নার্ভাস ছিল। নিজেদের স্বাভাবিক খেলা তুলে ধরতে পারিনি। শুরুতে ২ গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচেও ফিরতে পারিনি। ফুটবলারদের বলেছি আগের ম্যাচের কথা ভুলে গিয়ে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ফোকাস করতে। অতীতে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে পয়েন্ট তোলার অভিজ্ঞতা রয়েছে মাজিয়া স্পোর্টসের।

আগস্ট ২১, ২০২১

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

জঙ্গিপুর হাসপাতালের ব্লাড সেন্টারে ঢুকে পড়ল সাপ। আতঙ্কিত ব্লাড সেন্টারের কর্মীরা।

জানা যায়, মঙ্গলবার প্রথমে ব্লাড সেন্টারের সাফাই কর্মী প্রথমে সাপ দেখতে পান।এরপর তিনি ব্লাড সেন্টারের কর্মীদের খবর দেন।সাপ থাকায় ফলে ব্লাড সেন্টারের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়।এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ব্লাড সেন্টারে আসা রোগী সহ রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে।পরবর্তীতে বনদপ্তরের কর্মীরা আসে ব্লাডা সেন্টারে এবং তারা সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বাজারে ঢুকলো মরশুমের প্রথম ইলিশ

বর্ষা ঢুকতেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ উঠতে শুরু করল। বাজারে ঢুকলো মরশুমের প্রথম ইলিশ। একদিনের ফিসিংয়ে প্রায় ২৫ টন ইলিশ বাজারে এসেছে। সোমবার সকালে নামখানার খেয়াঘাটে প্রায় ২৫টি ট্রলার ইলিশ নিয়ে ফিরেছে। মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, মূলত আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ট্রলার গুলি ভালো ইলিশ পেয়েছে। এই রূপ আবহাওয়া থাকলে আগামী কয়েক দিনের ভিতরে বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণের ইলিশ আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।কাকদ্বীপ ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, প্রতিদিন কেউ কেউ দুই তিন টন ইলিস পাচ্ছে। ছশো থেকে আটসো গ্রামের ইলিশ মিলে

জুন ১৭, ২০২৫
বিদেশ

ইতিহাস গড়লেন ডোনা! কেমব্রিজে প্রথম ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের কর্মশালা সৌরভ জায়ার

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেসাস কলেজের ঐতিহাসিক প্রাঙ্গণ আজ ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের চিরকালীন ছন্দে মুখরিত হলো, যেখানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ওড়িশি নৃত্যশিল্পী প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ জায়া ডোনা গাঙ্গুলি পরিচালনা করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শাস্ত্রীয় নৃত্য কর্মশালা।কেমব্রিজের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হলো এই কর্মশালার মাধ্যমে, যেখানে ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক ও শিল্পপ্রেমীরা ওড়িশি নৃত্যভারতের আটটি স্বীকৃত শাস্ত্রীয় নৃত্যধারার অন্যতমসম্পর্কে একটি গভীর ও বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। অংশগ্রহণকারীরা শিখলেন এই শিল্পরূপের মূল ভঙ্গিমা, অভিব্যক্তি এবং এর দার্শনিক ভিত্তি, যা এর আধ্যাত্মিক মূল এবং দুই হাজার বছরের ঐতিহ্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।এই কর্মশালায় বিভিন্ন পটভূমি থেকে আগত অংশগ্রহণকারীরা অংশ নেন, যাঁদের অনেকেই প্রথমবারের মতো ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্য প্রত্যক্ষ করেন। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির উপর জোর দিয়ে এই অনুষ্ঠানটি এমন সকলকে স্বাগত জানায়, যাঁদের নৃত্যে পূর্বে কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না।এই উপলক্ষে শ্রীমতি ডোনা গাঙ্গুলি বলেন, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওড়িশির উত্তরাধিকার ভাগ করে নিতে পারা আমার জন্য এক গৌরবের ও আবেগঘন অভিজ্ঞতা। এই নৃত্য কেবল ভঙ্গিমা নয়এটি এক ধ্যান, ভক্তি ও গল্প বলা। আমি খুবই আনন্দিত এমন উৎসাহী অংশগ্রহণ ও ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ দেখে। এটি কেবল একটি পরিবেশনা নয়, এটি এক ধরনের সাংস্কৃতিক সংযোগ যা শিল্পের মাধ্যমে তৈরি হয়।এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় ঐতিহ্যের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহকে তুলে ধরে এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও বৈশ্বিক সম্পৃক্ততার প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন, এটি কেবল শুরুভবিষ্যতে আরও এরকম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতীয় পারফর্মিং আর্টস নিয়ে আরও গভীর অনুসন্ধান চালানো সম্ভব হবে।কর্মশালাটি বিপুল সাড়া পায়; অংশগ্রহণকারীরা ডোনা গাঙ্গুলির উষ্ণতাপূর্ণ ও অনুপ্রেরণামূলক শিক্ষা এবং নৃত্যের সৌন্দর্যের প্রতি অকুণ্ঠ প্রশংসা জানান। ভবিষ্যতের জন্য আরও সহযোগিতা ও ভারতীয় সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে সম্প্রসারিত কর্মসূচির পরিকল্পনাও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।ডোনা গাঙ্গুলি খ্যাতনামা ওড়িশি নৃত্যশিল্পী ও দীক্ষা মঞ্জরি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা, প্রখ্যাত গুরু পন্ডিত কেলুচরণ মহাপাত্রের শিষ্যা এবং ভারত ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসবে তাঁর নৃত্য পরিবেশনের জন্য প্রসিদ্ধ। ডোনা জানান তাঁর লক্ষ্য ওড়িশি নৃত্যের সৌন্দর্য ও দার্শনিক ভিত্তি আগামী প্রজন্মের কাছে বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়া।

জুন ১৫, ২০২৫
রাজনীতি

২১ জুলাইয়ের পোস্টারে ছবি কার? কি সিদ্ধান্ত দলের?

২১ জুলাই শহীদ দিবস। ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের ২১ শে জুলাইকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সভা সফল করতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। শনিবার ভবানীপুরের দলীয় কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করে তৃণমূল। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে দলীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এবার ২১ জুলাইয়ের পোস্টারে থাকবে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকবে না। এটা অভিষেক নিজেই চেয়েছেন। উল্লেখ্য, অভিষেক ২০১১ সালে তৃণমূলে যোগ দেন এবং দলের যুব সংগঠনের সভাপতি হন। এরপর থেকে তিনি দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে উঠে আসেন। কিন্তু তাঁর ছবি পোস্টার থেকে বাদ যাওয়ার বিষয়টিকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনার শেষ নেই। গত বছর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সমাবেশে অভিষেকের ছবি না-থাকায় তৃণমূলের ভিতরেই বিক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। কুণাল ঘোষের মতো নেতারা সেই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন। এবার যাতে তেমন কোন বিতর্ক না হয় তা নিয়ে আগে ভাগেই সতর্ক অবস্থান নিল দল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুদীপবাবু বলেন, ক্যামাক স্ট্রিটের দফতর থেকে যেসব পোস্টার পাঠানো হয়েছে, তাতে শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিই রয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, অভিষেক নিজেই বলেছেন, যেহেতু তিনি ২১ জুলাইয়ের ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না, তাই তাঁর ছবি পোস্টারে না থাকাই যুক্তিযুক্ত।রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা বারবার দলীয় সভায় স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, সরকার যেমন তাঁর হাতেই, সংগঠনেও তিনিও শেষ কথা। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই, বাম সরকারের আমলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ১৩ জন তৃণমূল কর্মী। সেই শহিদদের স্মৃতিতে প্রতিবছর এই দিনটি পালন করে তৃণমূল। যেহেতু সেই সময় অভিষেক রাজনীতিতে ছিলেন না, তাই এবার তিনি নিজেই সরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন এমনটাই দাবি সুদীপের-ফিরহাদদের।তবে এই ছবি বিতর্ক নতুন কোন ইস্যু নয়। ২০২৩ সালে নেতাজি ইন্ডোরের এক সভাতেও শুধু মমতার ছবি ছিল, অভিষেকের ছবি না-থাকায় কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছিলেন। আবার ২০২৫-এর শুরুতে অভিষেকের দফতর থেকে প্রকাশিত ক্যালেন্ডারে তাঁর বিরাট ছবি ঘিরেও শুরু হয়েছিল বিতর্ক। পরে সেটি বদলে দেয় রাজ্য নেতৃত্ব। এরপর ফের ফেব্রুয়ারিতে নেতাজি ইন্ডোরের দলীয় সভায় দেখা যায় শুধুই মমতার ছবি। সব মিলিয়ে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশকে ঘিরে যে রাজনৈতিক রূপরেখা তৈরি হচ্ছে, তাতে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একক নেতৃত্বকেই সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। আর অভিষেকের ছবি না-থাকা সেই বার্তাকেই আরও সুদৃঢ় করল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের ।

জুন ১৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal